হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়।হজমের সমস্যা দূর করার উপায়
সুপ্রিয় পাঠক, আপনার কি হজমের সমস্যা? আপনি কি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এ আর্টিকেলে আমি হজমের সমস্যা দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় বা হজমের সমস্যা দূর করার উপায় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন আমাদের পাচনতন্ত্র আমাদের শরীরের কোষগুলোকে পর্যাপ্ত জ্বালানী সরাবরাহ ও সঠিকভাবে বর্জ অপসারণে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছে। আপনি যদি সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আপনার পাচনতন্ত্রকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে তার প্রভাব আপনার শরীরের প্রতিটি অংশে কাজ করতে পারে।
এক্ষেত্রে সবথেকে প্রভাব বিস্তার করে আপনার খাদ্যাভ্যাস ও আপনার জীবনধারা।এক্ষেত্রে ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি আপনার জন্য ব্যাপক সমস্যার কারণ হয়ে দ্বারাতে পারে। যা আপনার হজম শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এখন আমি হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় হিসাবে ১২ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনার হজমের সমস্যা দূর করার উপায় হিসাবে কাজ করবে। চলুন তাহলে দেরি না করে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণ জেনে নিন
আমরা অনেক সময় খাবার দ্রুত খাওয়ার জন্য খাবার ভাল করে না চিবিয়েই খেয়ে ফেলি যা আমাদের হজম শক্তি কমানোর জন্য বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। বা আমাদের হজম শক্তি কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসাবে কাজ করে থাকে।
এছাড়া মানসিক চাপ অনিয়মত ঘুম বা অনিয়মিত খাবার গ্রহণ আমাদের পরিপাকতন্ত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং আমাদের হজম শক্তি কমে যায়। এছাড়া আপনি যদি অধিক পরিমানে ভাজা জাতীয় খাবার ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাহলেও আমাদের হজমে সমস্যা হয় এবং হজম শক্তি কমে যায়।
তাছাড়া আপনার যদি খাদ্য নালীতে ও পাকস্থলিতে সমস্যা থাকে তাহলে আপনার হজম শক্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার হজম কমে যেতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত ঔষধ সেবন করেন এবং অতিরিক্ত চা,কফি, পান, মাদকদ্রব্য ব্যবহার করেন তাহলেও আপনার হজম শক্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে আপনার হজম শক্তি কমে যেতে পারে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন
১. প্রচুর ফল ও শাকসবজি খেতে হবে
শাকসবজি এবং ফল আপনার হজম শক্তি ও সামগ্রীক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে এভং আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর পুষ্টি ও ফাইবার ধারণ করে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ফল ও শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে এবং আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
বি.দ্র. এজন্য আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন রঙের ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন।
২. গোটা শস্য ও বাদাম পছন্দের খাদ্য তালিকায় রাখুন
আপনি যদি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান অথবা হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে গোটা শস্য ও বাদাম প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে হবে। কেননা গোটা শস্য ও বাদামে প্রচার পরিমান ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে পারে এবং গোটা শস্য আপনার অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
বি.দ্র. : এজন্য আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও হজমের সমস্যা দূর করার জন্য বাদামী চাল, ওটমিল, পপকর্ন, পুরো গম ও বার্লি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৩.সীমিত মাংস খাওয়ার অভ্যাস করুন
মাংসে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম, চর্বি এবং নাইট্রেট থাকে যা কোলন ক্যানসার সৃষ্টিতে ব্যাপকভাবে কাজ করে । মাংস ক্যানসার হৃদরোগ এবং হজম শক্তিতে প্রভাব বিস্তার করে। তাই আপনি যদি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান অথবা হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মাংস সীমিত পরিমান খেতে হবে। তবে আপনি চাইলে সীমিত পরিমান মুরগির মাংস, মাছ, লেবুর সস ও যে কোন মাংস ২/৩ দিন সীমিত পরিমান খেতে পারেন।
৪. শর্করা জাতীয় খাদ্য সীমিত করুন
অধিক পরিমান চিনি আপনার ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে ও আপনার দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য আপনাকে চিনি জাতীয় যে কোন খবার পরিহার করা উচিত। এজন্য আপনি এর বিকল্প হিসাবে মিষ্টি জাতীয় ফল আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন যাতে আপনার মিষ্টি খাওয়ার বিকল্পি হিসাবে কাজ করতে পারে।
৫. স্বাস্থ্যকর রান্না ভক্ষন করুন।
অস্বাস্থ্যকর রান্না আপনার হজম শক্তিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে বিশেষ করে তেলে ভাজা ও নানা রকম ভাজা জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমানে অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা আপনার হজম শক্তিতে প্রভাব ফেলে । তাই এসব ভাজা জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। কারণ অধিক পরিমান অস্বাস্থ্যকর চর্বি আপনার দেহে উচ্চ তাপমাত্রার গ্রিলিং কার্সিনোজেন (ক্যানস্যার সৃষ্টিকারী রাসায়িক দ্রব্য) সৃষ্টি করতে পারে।
৬. প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খান
প্রোবায়োটিক খাবার হলো এমন একধরণের খাবার যে খাবারগুলো আপনার দেহে পুষ্টিকর ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনার অন্ত্রে পুষ্টি যোগায়।
বি.দ্র. : এজন্য আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও হজমের সমস্যা দূর করার জন্য দই, কিচমিচ, কাঁচা আপেল,সিডার ভিনেগার, রসূন এবং পেঁয়াজ আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন।
৭. প্রচুর পরিমান পানি পান করুন
আপনার যদি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রচুর পরিমানে পানি পান করছেন না বা পানীয় জাতীয় খাবার খাচ্ছেন না। পানি আপনার দেহের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এজন্য একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে গড়ে ৪/৬ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন।
বি.দ্র: এজন্য আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও হজমের সমস্যা দূর করার জন্য পানি, সবুজ চা, কালো কফি, চর্বি মুক্ত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
৮. নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার পরিপাকতন্ত্র দ্রুত খাবার প্রকৃয়াজাত করতে পারে এবং আপনার বমিবমি ভাব ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের ঝুঁকি কমাতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম কোষ্ঠকাঠিন্য অন্ত্রের রোগগুলিকে সারিয়ে তুলতে সাজায্য করে থাকে।
বি.দ্র.: এজন্য আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও হজমের সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত দুইবেলা ব্যায়াম ও খাদ্য গ্রহণের পর ৩০ মিনিট মাঝারি ও বড় ধরণের ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে পারেন।
৯. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
স্বাভাবিক ওজন আপনার জিইআরডি, পিত্তথলি, পাচক ক্যানসার ও নানা রকম শারীরিক জটিলতা হ্রাস করে থাকে। আপনি আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য নিয়মিত পরিমিত খাবার ও ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম ওজন কমানোর একটি কার্যকরী উপায়।
১০. ধুমপান থেকে বিরত থাকুন
ধুমপান আপনার ফুসফুসের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। এটি আপনার পাচনতন্ত্রকে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে থাকে। ধুমপান এসিড রিফ্লাক্স হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।তাছাড়া ধুমপান হজম শক্তি কে হ্রাস করে এবং ক্ষুধামন্দা সৃষ্টি করে। তাই আপনি যদি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান অথবা হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ধুমপানকে না বলতে হবে।
১১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন
পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরের হজম প্রকৃয়াসহ শরীরের প্রতিটি বিষয়কে প্রভাবিত করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে থাকে যা গ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এজন্য আপনাকে প্রতিরাতে কমপক্ষে ৭/৯ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
১২. মানসিক চাপ কমান
মানসিক চাপ আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এর ফলে আপনার ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, আইবিএস এবং আলসারের সৃষ্টি করতে পারে। যা আপনার হজম শক্তিকে হ্রাস করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান বা হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
বি.দ্র.: এজন্য আপনি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ও হজমের সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত দুইবেলা ব্যায়াম ও খাদ্য গ্রহণের পর ৩০ মিনিট মাঝারি ও বড় ধরণের ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে পারেন। যোগব্যায়াম করতে পারেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও থেরাপি নিতে পারেন।
প্রত্যেকেই কোন না কোন সময়ে হজমের সমস্যা অনুভব করে থাকেই। হজমের সমস্যা একটি অস্বস্থিকর ব্যাপার যা আপনার সব সরকম কাজে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। আপনার প্রতিদিনের ক্রিয়াকালাপে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে।
আপনার যদি হজমের সমস্যা থেকে থাকে এবং আপনি নানা রকম কৌশল অবলম্বন করেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং তা অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
আরো কিছু পোস্ট:
- ছোট বাচ্চাদের সর্দি হলে করণীয় জেনে নিন
- হেঁচকি বন্ধ করার উপায়-হেঁচকি বন্ধ করার দোয়া
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ৮ টি উপায় – স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ইসলামিক উপায় জেনে নিন
- প্রেশার লো হলে করণীয় ১০টি কাজ – প্রেশার লো এর ১৫ লক্ষণ
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর কার্যকরী উপায় জেনে নিন
হজম শক্তি বৃদ্ধির খাবার। প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক এখন আমি হজম শক্তি বৃদ্ধির খাবার নিয়ে আলোচনা করবো। আসলে আমরা অনেকেই জানি না হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য কি ধরনের খাবার প্রয়োজন। তাই আপনি যদি হজম শক্তি বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এ অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিভিন্ন রঙের ফল ও শাকসবজি, বাদামী চাল, ওটমিল, পপকর্ন, পুরো গম ও বার্লি, (মুরগির মাংস, মাছ, লেবুর সস ও যে কোন মাংস ২/৩ দিন সীমিত পরিমান), দই, কিচমিচ, কাঁচা আপেল,সিডার ভিনেগার, রসূন এবং পেঁয়াজ, পানি, সবুজ চা, কালো কফি, চর্বি মুক্ত দুধ এসব খাবার খেতে পারেন। তবে প্রচুর পরিমান পানি পান করতেই হবে।
প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়। হজম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ। হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়, হজম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এ অংশটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ অংশে আমি প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়, হজম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন তাহলে দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য আমরা অনেক সময় নানা রকম অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে থাকি। যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেও উপযোগী নাও হতে পারে। এজন্য আমরা হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য কিছূ ঘরোয়া উপায় বা হজম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ নিয়ে আলোচনা করবো যাত প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আপনি যদি চিরার গুঁড়ার সাথে কুসুম কুসুম গরম পানি মিশিয়ে পান করেন তাহলে আপনার হজম শক্তি প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। যাতে কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কাঁচা হলুদ সেবন হজম শক্তি বৃদ্ধির একটি কার্যকরী উপায়। কারণ কাঁচা হলুদ হজমের সমস্যা দূর করতে পারে। এজন্য আপনি নিয়মিত কাঁচা হলুদ সেবন করতে পারেন।
পেঁপে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আপনি যদি আপনার হজম শক্তি বাড়াতে চান ও হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন। তাছাড়া আপেলকে সিদ্ধ করে সেই পানি পান করতে পারলেও হজম শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এবং আপনাকে নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। কারণ আঁশযুক্ত খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক, এখন আমরা হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম সম্পর্কে জানবো। হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যায়াম ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এখন আমরা এমন কিছু ব্যায়াম নিয়ে আলোচনা করবো যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।
- যোগআসন ব্যায়াম: যোগআসনের মাধ্যমে আমাদের দেহে নিম্নমুখী শক্তির প্রবাহ সৃষ্টি হয় যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এই ব্যায়ামটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এবং আমাদের হজম বৃদ্ধি করতে ব্যাপক কাজ করে থাকে।
- ধনুরাসন ব্যায়াম: আপনি যদি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান বা হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত ধনুরাসন ব্যায়ামটি অভ্যাস করা লাগবে। কারণ এই ব্যায়ামটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যেমন সাহায্য করে তেমনি আমাদের মেদ কমাতে ও হাঁটুর ব্যাথা কমাতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে থাকে।
- ভুজুঙ্গাসন ব্যায়াম: ভূজঙ্গাসনে সবথেকে বড় যে ফল পাওয়া যায় তাহলো ভুজুঙ্গাসে আমাদের প্রচুর পরিমান অক্সিজেন সরাবরাহ করে থাকে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না অক্সিজেন হজম শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- হাঁটার ব্যায়াম: আপনি যদি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান বা হজমের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত 20/3 মিনিট সময় ধরে হাটতে পারেন। এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট। হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ
সুপ্রিয় পাঠক, এখন আমি হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট মূল্যসহ ও হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ মূল্য সহ আলোচনা করবো। চলুন হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট ও হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ জেনে নেওয়া যাক। চলুন শুরু করি।
- Lysivin (Tablet) – Square =120tk
- Neuro-B (Tablet)- Square = 240 tk
- Bicozin (Tablet) -Square = 90 tk
- Megenox (Syrup) – Acme = 500TK
- Neural gin (Tablet) -Ibn-Sina= 5 tk
- Neobion (Tablet) – Aristopharma = 8 tk
- Neucos-B (Tablet) – Radiant= 11 tk
- TPC (Tablet) – Acme = 8 tk
- Bost (Syrup) – General = 8 tk
- B126 (Tablet) – Popular = 8 tk
- Serobion (Syrup) – Leon = 5 tk
- I-vita (Syrup) – Opsonin = 10 tk
পরিশেষে:
আশা করি আপনি হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় ও হজমের সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় ও হজমের সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের এ পোস্টটি আপনার ভাল লাগলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এ ধরেণের আর্টিকেল পেতে নিয়িমিত আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।