স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ জেনে নিন

 সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনারা যারা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জানতে চান আজকের এ পোস্টটি আপনাদের জন্য। আজকের এ পোস্টে আমি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf  সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।কারণ, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আজকে আমি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আপনার যদি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে চলুন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।চলুন আর দেরি না করে শুরু করি।

প্রারম্ভিক কথন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf-স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ জেনে নিন

সুপ্রিয় বন্দুরা আপনারা যারা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জানতে চান তারা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলাদেশ স্বাধীনতার অগ্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলার জমিনে পা রাখেন সেদিনটিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে পালন করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কবে তা জানুন

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কত তারিখ জানুন

বন্ধুরা আপনারা জানেন, ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাকিস্তানের কারাগার করাচিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে নানাভাবে অত্যাচার করা হয় এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় এবং তাকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করলে সারা বিশ্বব্যাপি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে লাখো জনতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেন এবং আর্ন্তজাতিক চাপে পাকিস্তান শাষকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।

আরো পড়ুনঃ সরস্বতী পূজা কত তারিখে তা জানুন

পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি লন্ডনে যান সেখান থেকে ভারত হয়ে বাংলার জমিনে পদার্পন করেন।তিনি লন্ডন থেকে সফর শেষে ভারতে যান সেখান থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলার জমিনে পা রাখেন। তখন থেকে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়।

সুপ্রিয় পাঠক, আমরা জানলাম ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ।এরপর আমরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে জানবো। চলুন, আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf  জেনে নিন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক ও বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম হয়। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন এবং তাঁকে অত্যাচার করা হয়।তাই বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। এখন আমি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

দীর্ঘদিন কারাবাসের পর ১৯৭২  সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলার জমিনে পা রাখেন।যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে  তিনি পাকিস্তানের কারাগারে রাজবন্দী হিসাবে ছিলেন। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন।তাই ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর তার অবসান ঘটে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত বাঙ্গালিকে হত্যা করে এবং তার পর প্রকাশ্যে সমুক্ষ্যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। 

আরো পড়ুনঃ সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৩ জানুন

এদিকে ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত ও ২৬ মার্চ শেষ প্রহর বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়। এবং তাকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়। সেখানে তাকে নানা রকম অত্যাচার ও হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় কিস্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

এদিকে বাঙ্গালি জাতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রাণপণ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। নিজ প্রিয়নেতাকে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে দূর্গ গড়ে তালে।পাকিস্তানী সেনাদেরকে তারা নাজেহাল করে দেয়।এই অপ্রতিরোধ্য বাঙালির কাছে অবশেষে তারা পরাজয় স্বীকার করে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।

বিজয় লাভের পর সারা বিশ্বব্যাপি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য সোচ্চা হয়ে ওঠে। সারা বিশ্বের শান্তিকামী ও মুক্তিকামী জনগণ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্দোলন করে  এবং বিশ্ব জনমত গঠিত হয় এবং আর্ন্তজাতিক চাপের ‍মুখে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।

বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালির অস্বিত্বে বিরাজ করতেন।তাঁর কথাতেই এবং তাঁর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষনা ও প্রিয় নেতার নেতৃত্বেই সেদিন বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল।এবং বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।এবং বাঙ্গালির স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাত কত তারিখে ২০২৩ জানুন

পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর বঙ্গব্নধু প্রথমে লন্ডনে যান এবং সেখান থেকে ভারত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে আসেন। সেদিন প্রিয়নেতাকে স্বাগত জানাতে সারাদেশ থেকে লাখো মানুষ বিমানবন্দরে জমায়েত হয় এবং বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানায়।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ জেনে নিন

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ এখন আমি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বঙ্গবন্ধু স্বদেশের মাটিতে পা দেওয়ার পর সেখানে লাখো জনতার উপস্থিতিতে ভাষণ প্রদান করেন। এখন আমি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ তুলে ধরবো।স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশের মাটিতে পা দিয়েছিলেন এবং প্রথমে তিনি লন্ডনে যান; সেখান থেকে ভারত হয়ে বাংলার জমিনে পর্দাপন করেন।এসব বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি।এবং এ দিনটিকেই বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করতেন।বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে বাঙ্গালির অগাধ ভালবাসা লাভ করেছেন। বঙ্গবন্ধু যেদিন বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন সারা বাংলাদেশ থেকে লাখো মানুষ বিমানবন্দরে জমায়েত হয় এবং তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়।এরপর সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে যান এবং জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন।

আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজ ২০২৩ কবে তা জানুন

তিনি তাঁর ভাষণে বাঙ্গালি আজ  থেকে মুক্ত ও স্বাধীন এ কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং তিনি সে কাজগুলো জরুরী বলে ঘোষনা দেন। তিনি উচ্চসিত জনগনের উদ্দেশ্য বলেন, আমাদের যেসব রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলোর মেরামত শুরু করার জন্য। তিনি তাঁর ভাষণের এক পর্যায়ে সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার নির্দেশ দেন।তিনি শান্তিপ্রিয় বাংগালিকে সব দেশের সাথে বন্ধুত্ব কোন দেশের সাথে বৈরিতা নয় এমনটি ঘোষনা করে উদারতার পরিচয়  দেন।

পরিশেষে: স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ জেনে নিন

আশা করি আপনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনি যদি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস pdf- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণ সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আসুন। আমাদের এ পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুর।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।এরকম তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকেন।