আপনি যদি রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার করবো। এবং কোন জেলায় রেশম চাষ করা হয় এবং কেন রেশম চাষ করা হয় এসব নিয়ে কিস্তারিত থাকছে  আজকের এ পোস্টে। তাই রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পোস্টটি বিস্তারিত পড়ৃন।

রেশম চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

সূচিপত্র: রেশম চাষ পদ্ধতি জেনে নিন।রেশম চাষ হয় কোন জেলায়

রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন। রেশম চাষ খরচ কেমন তা জানুন

রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহাকারে পড়ুন। তাছাড়া আপনি যদি রেশম চাষে খরচ কেমন হয় এবং  কোন জেলায় রেশম চাষ করা হয়, রেশম চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও রেশম চাষ বিদ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।

আপনি যদি রেশম চাষ করতে চান তাহলে রেশম চাষ পদ্ধতি ও রেশম চাষের খরচ সম্পর্কে জ্ঞান না রাখেন তাহলে আপনি রেশম চাষ করে কখনোই কাঙ্থিত সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। নিম্নে রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

See also  রুম হিটার ব্যবহারের নিয়ম - রুম হিটারের ক্ষতিকর দিক জেনে নিন

০১. তুত পাতা সংগ্রহ: রেশম চাষে সব থেকে গুরত্বপূর্ণ ধাপটি হলো তুঁত পাতা সংগ্রহ করা। কেননা তুঁত পাতা ছাড়া আপনি কোন ভাবেই রেশম চাষ করতে পারবেন না। এজন্য আপনি নিজে তুঁতের চাষ করে হোক অথবা তুঁত পাতা ক্রয় করে যেকোন ভাবেই আপনাকে তুঁতের পাতা সংগ্রহ করতে হবে।

০২. রেশম লার্ভা সংগ্রহ করা ও তা প্রতিপালন করা: আপনি যুদ রেশম চাষ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রেশমের লার্ভা সংগ্রহ করতে হবে। আপনাকে ভাল মানের রেশমের লার্ভা সংগ্রগ করে তা চাষের জন্য প্রতিপালন করতে হবে। 

আরো পড়ুন: ঘুমানোর পূর্বে কোন দোয়া পাঠ করতে হয় জেনে নিন

রেশমের লার্ভা সংগ্রহের একটি উৎকৃষ্ট সময় হলো শীতকাল। শীতকালে ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে আপনি রেশমের লার্ভা সংগ্রহ করতে পারেন ও পরবর্তীতে তা প্রতিপালন করতে পারেন। 

০৩. জীবানুমুক্ত বাসস্থান : আপনি যে ঘরটিতে বা যেখানে লার্ভা প্রতিপালন করবেন সে জায়গাটি অবশ্যই জীবানুমুক্ত করতে হবে। কারণ দূষিত জায়গায় লার্ভা পালন করা সম্ভব নয়। এজন্য আপনি যে ঘরে লার্ভা পালন করবেন তা বিশেষভাবে জীবানুমুক্ত রাখতে হবে।

০৪. ভাল মানের ডিম ফুটানো: আপনি ভাল মানের ডিম সংগ্রহ করে তা রেখে দিলে ১০/১১ দিনের মধ্যেই সেখান থেকে লার্ভা বা পুল বের হতে  শূরু করবে। এজন্য আপনাকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেখে দিতে হবে। এরপর ৮ থেকে ৯ দিনের মাথায় যখন ডিমগুলোর উপর কালো সেট পড়বে তখন সেগুলোকে ঢেকে রাথতে হবে। ১০-১১ দিনের মধ্যেই ডিম থেকে লার্ভা বা পুল বের হয়ে আসবে। তখন আপনি রেশম চাষ করতে পারবেন। 

০৫. লার্ভা সংগ্রহ: ২০/২৫ দিনের মধ্যে লার্ভাগুলো চার বার খোলস পরিবর্তন করে। এসময় আপনাকে লার্ভাগুলোকে খাদ্য হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমান তুঁত গাছের পাতা দিতে হবে। এভাবে পরিবর্তনের পর পঞ্চম বারের সময় লার্ভাগুলো পুত্তলি তৈরি করে থাকে।যাদেরকে কোকুন বা পিউপাও বলা হয়। 

See also  হজম শক্তি বৃদ্ধির 12টি উপায়। হজমের সমস্যা দূর করার উপায়

০৬. পুত্তলি সংগ্রহ করা: এর পরবর্তী ধাপে পুত্তলির ভিতরে কিছূ ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন পুত্তলির মধ্যে পিউপা চলাফেলা করতে না পারা যারফলে তার শরীর ছোট হয়, খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং শুধুমাত্র মাথা নাড়তে থাকে। এরপরে ৯/১৪ দিনের মধ্যে মথ বা প্রজাপতি বের হয়ে আসে। কোন জেলায় রেশম চাষ করা হয় ? রেশম চাষ বিজ্ঞান সম্পর্কে ও রেশম চাষ বিদ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

০৭. গুটি সংগ্রহ করা : এরপর ৩/৪ দিন পরে গুটি হয়েছে কিনা তা ভালভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। গুটি হয়েছে কিনা তা জানার সবচেয়ে ভাল একটি উপায় হলো গুটি হলে ভিতরে খটখট শব্দ শোনা যায়। খটখট  শব্দ শোনা গেলে বোঝা যাবে গুটি হয়েছে কিনা। এরপর গুটি সংগ্রহ করার জন্য গরম তাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং ভেতরে পোকা মেরে ফেলতে হবে এবং গুটি সংগ্রহ করতে হবে। নিচে রেশম চাষে খরচ কেমন সে সম্পর্কে ও রেশম চাষ কোন জেলায় করা হয় ও রেশম চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

রেশম চাষ হয় কোন জেলায় জেনে নিন

রেশম চাষ বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক চাষাবাদ পদ্ধতি। বাংলাদেশের প্রায় পতিটি জেলাতেই কমবেশি রেশম চাষ হয়ে থাকে। চাপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড় ও গাজীপুরে রেশম চাষ করা হলেও রেশম চাষের জন্য বিখ্যাত জেলা হলো রাজশাহী। 

আরো পড়ুন: প্রেশার লো হলে করণীয় ১০ টি কাজ সম্পর্কে জেনে নিন

কারণ, বাংলাদেশের রেশম চাষের সিংহভাগ চাষ হয়ে থাকে রাজশাহীতে। রাজশাহী থেকেই প্রায় বাংলাদেশের সকল জায়গায় রেশম সরাবরাহ করা হয়ে থাকে। আশা করি রেশম চাষ করা হয় কোন জেলায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

রেশম চাষ সংক্রান্ত বিদ্যা সম্পর্কে জেনে নিন। রেশম চাষ বিজ্ঞান সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি যদি রেশম চাষ করে বানিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে তাহলো রেশম চাষ সংক্রান্ত বিদ্যা ও রেশম চাষ বিজ্ঞান। রেশম চাষ বিজ্ঞান ও রেশম চাষ সংক্রান্ত বিদ্যা সম্পর্কে পূনাঙ্গ জ্ঞান না থাকলে আপনি কখনোই উদ্যোক্ততা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না এবং পর্যাপ্ত লাভ করতে পারবেন না।

See also  হেঁচকি বন্ধ করার উপায়-হেঁচকি বন্ধ করার দোয়া

আরো পড়ুন: মাসিকের ব্যাথা কমানোর উপায় জেনে নিন

ইতিমধ্যে রেশম চাষ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত  বিয়ষগুলো ভালভাবে বুঝে এবং ধারণা নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি রেশম চাষ করে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন এবং ভাল মানের প্রফিট অর্জন করতে পারবেন।ইতিমধ্যে আমি রেশম চাষ কোন জেলায় করা হয় ও রেশম চাষের খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত ্আলোচনা করেছি । চলুন এবার রেশম চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

রেশম চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নিন

বর্তমান সময়ে রেশম চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। বিশেশ করে বাংলাদেশের মতো দরিদ্রতম দেশে রেশম চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা, রেশম চাষ দারিদ্র বিমোচনে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক ভাবে রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করতে পারলে খুব সহজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে। বিশেষ করে বেকারত্ব হ্রাসে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে। 

আরো পড়ুন: নগদ কল সেন্টার নাম্বার জেনে নিন

খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করতে পারলেই রেশম চাষ করে ভাল টাকা আয় করা সম্ভব। শুধু মাত্র ১/৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারলেও রেশম চাষ শুরু করা যায় এবং তা সরাবরাহ করে ভাল প্রফিট অর্জন করা সম্ভব। তাই অবশ্যই আপনি বুঝতে পেরেছেন অর্থনৈতিকভাবে রেশম চাষের গুরুত্ব কেমন?

ইতিকথা: রেশম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন। রেশম চাষ খরচ 

আশা করি রেশম চাষ সংক্রান্ত বিদ্যা, রেশম চাষ বিজ্ঞান ও রেশচ চাষ খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি এও জানতে পেরেছেন রেশম চাষের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও রেশম চাষ হয় কোন জেলায়। আজেকের এ পোস্টে উপরোক্ত বিয়ষগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরে আমি খুব অনন্দিত। আজকের এ পোস্টটি ভাল লাগলে অব্যশই শেয়ার করবেন। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।