বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম

Table of Contents

বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম – ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম – নিজের বাচ্চাকে পড়াতে চায় সবাই। আপনি চাইলে নিজের বাচ্চাকে পড়াতে পারেন নিজের মতো করে। অনেকেই নিজের ছোট বাচ্চাকে পড়াতে চায় ঠিকই কিন্তু কিভাবে ছোট বাচ্চাদের পড়াতে হয় এটা বুঝতে পারেন না। কিন্তু আজকের এ আর্টিকেলের মধ্যে বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম বা ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম বা ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম

ধরুন আপনি নিজের বাচ্চাকে পড়াবেন বলে ঠিক করেছেন? আপনি কয়েকদিন পড়াতেও বসিয়েছেন। কিন্তু আপনার বাচ্চা আপনার কাছে পড়তে চাইছে না বা আপনার কথা শুনছে না। তখন আপনি হতাশ হয়ে যান এবং ভাবেন নিজের বাচ্চাকে পড়ানো যায় না। অন্যকে দিয়ে পড়াতে হবে। আপনার ছোট বাচ্চাকে পড়ানো আপনার দ্বারাই হবে । এজন্য আপনাকে ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম গুলো জানতে হবে বুঝতে হবে ছোট বাচ্চা পড়ানোর কৌশল।

হেঁচকি বন্ধ করার উপায়-হেঁচকি বন্ধ করার দোয়া

আপনি যদি বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম গুলো অনুসরণ করেন এবং ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল অবলম্বন করেন তাহলে আপনার বাচ্চা আপনার কাছে পড়তে ও পড়তে বসতে আগ্রহী হবেন। চলূন আর দেরি না করে বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

See also  হেঁচকি বন্ধ করার উপায়-হেঁচকি বন্ধ করার দোয়া

ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম – ছোট বাচ্চাদের পড়ার কৌশল

সুপ্রিয় পাঠক, এখন আমি বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম ও ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে ও ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এ অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

1. যা শেখাবেন তা আগে নিজে শিখুন

আপনি আপনার বাচ্চাকে যা পড়াবেন তা আগে নিজে ভাল করে শিখুন। কারণ আপনি যা শেখাতে চান আপনার বাচ্চাকে তা নিজের আয়ত্বে না থাকলে আপনি সেই বিষয়ে আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর সময় ভাল ভাবে বুঝাতে পারবেন না ফলে আপনার বাচ্চা আপনার কাছে পড়ার আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলবে । সে আপনার কাছে পড়তে চাইবে না। আর জোর করে পড়ানো কখনোই বাচ্চাদের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

তরমুজ চাষ পদ্ধতি ২০২৩

তাই আপনি নিজে যা জানেন না তা কখনো বাচ্চাকে শেখাতে যাবেন না । আপনি নিজে আগে ভাল করে শিখে তার পর তা গল্পের মাধ্যমে বাচ্চাকে পড়ানোর চেষ্টা করুন বা বুঝানোর চেষ্টা করুন আপনার বাচ্চা খুব সহেজে শিখতে পারবে।

2. বুঝিয়ে বুঝিয়ে পড়ান।বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম

আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে পড়াতে চান তাহলে আপনি যতটা বাবা-মা ততটা শিক্ষক। অনেক শিক্ষক ও বাবা-মা আছেন যারা জোর জবরদস্তি করে পড়াতে চান। এভাবে পড়ালে আপনার বাচ্চার মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হতে পারে এমনকি দীর্ঘস্থায়ী পড়ায় অমনোযোগী হতে পারে।

এজন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে যা পড়াবেন তা নিজে শিখে বাচ্চাকে বুঝিয়ে বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করুন। এজন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর সময় গল্পাকারে পড়াতে পারেন এতে তারা খুব সহজে বুঝতে পারবে ও মনে রাখতে পারবে।

3. শিখতে আগ্রহী করে তুলুন।ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

আপনি যখন আপনার বাচ্চাকে পড়াবেন তখন মনে রাখবেন আপনি যখন পড়াবেন এমন ভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে তার যে বিষয় নিয়ে পড়াচ্ছেন সে বিষয় নিয়ে তার আগ্রহ তৈরি হয়। এজন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে গল্প আকারে পড়াতে পারেন। কারণ বাচ্চারা গল্প শুনলে সে বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয় সেই বিষয়টি সম্পর্কে।একবার আগ্রহ তৈরি করতে পারলে আপনার বাচ্চাকে আর বলতে হবে সে নিজে থেকে পড়তে আগ্রহী হবে।

4. পড়ার প্রতি ভীতি দূর করুন।বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম

বাচ্চারা সচরাচর যে বিষয়টি জানে না সে বিষয়টি সম্পর্কে শিখতে প্রাথমিকভাবে তার ভীতি তৈরি হয়।এই ভীতির কারনে সে সেই বিষয়টি নিয়ে আর পড়তে চায় না।তাই আপনি যে বিষয়টি আপনার বাচ্চাকে পড়াবেন সে বিষয়টি সম্পর্কে তার ভীতি দূর করার চেষ্টা করুন।এজন্য আপনি কঠিন বিয়ষকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করুন যাতে তার কাছে সহজে বোধগম্য হয়।

See also  স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ৮ টি উপায় - স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ইসলামিক উপায় জেনে নিন

ভয়কে জয় করার উপায়

5. আনন্দের সাথে শেখান।ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

আপনি আপনার বাচ্চাকে যাই শেখান না কেন তা যেন মজার সাথে ও আনন্দের সাথে গ্রহন করে। আপনি যা শেখাতে চান বাংলা থেকে গনিত যে কোন বিষয়ে সে যেন গল্পের মতো করে শিখতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।কারণ বাচ্চারা যে বিষয়টি মজার সাথে গ্রহণ করে তা তারা খুব সহজে মনের সাথে গেঁথে নিতে পারে।

এ জন্য আপনি একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এখন অনলাইনের যুগে বাচ্চারা যাতে সহজে শিখতে পারে তার মজার মজার ভিডিও পাওয়া যায়। আপনি ভিডিওগুলো সংগ্রহ করে আপনার বাচ্চাকে দেখাতে পারেন। এভাবে মজার সাথে পড়ালে বাচ্চারা খুব সহজে যে কোন বিষয় মনে রাখতে পারে।

6. বাচ্চার সাথে কোন ভুল করলে তা স্বীকার করুন।বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম

বাচ্চারা সব সময় অনুকরণপ্রিয় হয়। আপনি যা শেখাবেন যা করবেন বাচ্চারা তা সংগে সংগে অনুকরণ করবে। এজন্য আপনি যদি পড়ানোর সময় কোন ভুল পড়ান বা ভুল করে কোন কিছু ভুল করেন তা বাচ্চার কাছে স্বীকার করুন। এবং সঠিকটা বলে দিন।

চোখের ভাষা বোঝার ১০টি উপায় জেনে নিন

আপনি আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর সময় যদি কোন ভুল পড়ান আর আপনার বাচ্চা যদি তা বুঝতে পারে তাহলে আপনি সাথে সাথে আপনার ভুল স্বীকার করুন।আপনি যদি ভুল স্বীকার না করেন তাহলে আপনার বাচ্চা এক সময় মিথ্যা বলতে শিখবে।এবং মনে করবে আপনি কিছূ জানেন না । সে আপনার কাছে পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।তাই আপনি ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর নিয়ম মেনে পড়াবেন এবং ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশলগুলো অবলম্বন করে পড়ান ।আপনার বাচ্চা আন্দন্দের সাথে ্আপনার শিক্ষা গ্রহণ করবে।

7. শাসন না করে ভালবাসা দিয়ে বুঝিয়ে পড়ান।ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

অনেকে আছেন যথন বাচ্চাদের পড়ান তখন অযথা কোন এক বিষয় নিয়ে শাসন করতে থাকেন। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে শাসনের মাধ্যমে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ভুল করছেন। আপনার ভয়ে আপনার বাচ্চা পড়তে বসবে ঠিকই কিন্তু আপনার বাচ্চা কোন কিছু শিখতে পারবে না এবং তার মেধা বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এজন্য আপনি যথন আনার বাচ্চাকে পড়াবেন তখন শাসন না করে ভালবাসা দিয়ে বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করুন।

See also  রেশম চাষ পদ্ধতি।রেশম চাষ সংক্রান্ত বিদ্যা ।রেশম চাষ হয় কোন জেলায় জেনে নিন

8. বকাবকি করা থেকে দূরে থাকুন।বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম

অনেক বাবা মা আছেন যারা সন্তানকে পড়ানোর সময় একটি ভূল সবসময় করে থাকেন তাহলো বাচ্চারা কোন বিষয়ে ভুল করলে অযথা বকাবকি শুরু করেন। এতে বাচ্চা সেই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সে আর পড়ায় মনোযোগ দিতে না পারায় পড়া হতে চায় না। তাই বাচ্চাকে পড়ানোর সময় অযথা বকাবকি করা থেকে বিরত থাকুন।

9. প্রথমে সহজ বিষয় দিয়ে পড়ানো শুরু করুন

আপনি যখন আপনার বাচ্চাকে পড়াবেন তখন সহজ বিষয় দিয়ে পড়ানো শুরু করুন।সহজ বিষয় দিয়ে শুরু করলে সে মজার সাথে পড়া শিখতে পারবে এবং খুব তারাতারি সে পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে পারবে।তার ভিতর থেকে পড়ার ভীতি দূর হবে।এবং সহজে সে পড়া মনে রাখতে পারবে।

10. প্রতিভাকে উৎসাহ প্রদান করুন।ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

প্রতিটি শিশুর মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা লুকিয়ে থাকে।আপনি আপনার বাচ্চার প্রতিভাবে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। সে যে বিষয় ভাল পারে সে বিষয়ে তাকে উৎসাহ প্রদান করুন যাতে সে সে বিষয়টি নিয়ে আরো জানতে আগ্রহী হয়।এভাবে আপনার বাচ্চাকে পড়াতে থাকুন। আপনার বাচ্চা এক সময় ভালো কিছু করতে পারবে।

11. পড়ার সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলুন।বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম

আপনি আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর আগে তাকে পড়ার সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলুন। বাচ্চারা সুন্দর পরিবেশে কোন কিছু শিখতে পচ্ছন্দ করে। আপনি যদি সুন্দর ও পরিপাটি পরিবেশে আপনার বাচ্চাকে পড়ান তাহলে সে দীর্ঘক্ষণ পড়ার আগ্রহ ধরে রাখতে পারবে। এবং সে ভালভাবে কোন  কিছূ শিখতে পারবে।

12. মাঝে মাঝে পাঠ্য বই থেকে দূরে থাকুন

আপনি আপনার বাচ্চাকে সব সময় পাঠ্য বই পড়াবেন না । এতে তারা  এক ঘেয়েমি বোধ করে এবং পড়ার আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলে। এজন্য আপনি পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আপনার বাচ্চার সাথে গল্প করতে পারেন । মজার মজার ধাঁধাঁ শেখাতে পারেন।এবং মাঝে মাঝে আপনার বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে যান। এতে করে আপনার বাচ্চার মেধাবিকাশে সহায়ক হবেন।

13. মাঝে মাঝে পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন।ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

আপনি আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে পুরস্তকারের ব্যবস্থা করুন এত আপনার বাচ্চার পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং পড়ার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।সে তার কৃতকার্যের পুরস্কার পাওয়ায় খুঁশি হবে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। এক সময় সে একাএকাই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবে।

পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল জেনে নিন

পরিশেষে: বাচ্চাদের পড়ানোর  নিয়ম – ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর কৌশল

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে বাচ্চা পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে পড়াতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলে বাচ্চা পড়ানোর যে কৌশলগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তা যথাযথভাবে ফলো করুন।আশা করি আপনি আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর মাধ্যমে তার মেধা বিকাশে সহায়ক হতে পারবেন। এ রকম আরা পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকু।