সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আজকে আমি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের রচনা বিষয়ে আলোচনা করতে চলছি।আপনাদের অনেক সময় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা লেখার প্রয়োজন হয় কিন্তু কিভাবে লিখবেন কি লিখবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না তাদের সাহায্য করার জন্য আজকের এ পোস্ট।আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা লেখার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আপনি অবশ্যই জানতে চান বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা কিভাবে লিখবেন? চলুন কিভাবে লিখবেন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সূচিপত্র: : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা ২০২৩ -স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস গুরুত্ব জেনে নিন
- প্রারম্ভিক কথন
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা ২০২৩ জেনে নিন
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব
- স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ জেনে নিন
- পরিশেষে
প্রারম্ভিক কথন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা ২০২৩ -স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস গুরুত্ব জেনে নিন
দীর্ঘদিন কারাবাসের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেদিন স্বাধীন বাংলার জমিনে পা রাখেন সেদিনটিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে প্রতিবছর পালন করা হয়। অনেক সময় আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের রচনা লেখার প্রয়োজন হয় ।আজকের পোস্টে আমি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আরো পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস
চলুন জেনে নেওয়া যাক, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের পটভূমি ও গুরুত্ব, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা ২০২৩ জেনে নিন
বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা লেখার প্রয়োজন হয়।বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা লেখার দরকার হয়।চলুন আজকের আর্টিকেলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাঙালিদেরকে দূর্বল করার জন্য তাদের প্রানপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে ২৫ শে মার্চ গভীর রাতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।বাংলাদেশ বিজয় লাভের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রাখেন এবং সেদিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য প্রতিবছর এইদিনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা
২৫ শে মার্চ গভীর রাতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।বঙ্গবন্ধু আগে বুঝতে পেরেছিলেন তাকে গ্রেফতার করা হবে তাই তিনি ২৬ মার্চ প্রথম পহরেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন এবং বাংলার মানুষকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অনস্বীকার্য।
২৫ মার্চ সেই কালো রাতের ইতিহাস কারো অজানা নয়। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নেওয়া হয় এবং তাকে কারাগারে রাজবন্দী হিসাবে বন্দী করে রাখা হয়।তাঁকে নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালোনো হয়।এমন কি তাকে হত্যা করাও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০২৩ কবে তা জানুন
বঙ্গবন্ধুকে হাড়িয়ে বাঙালি আরো দূর্বার হয়ে ওঠে। তারা তাদের প্রাণের বাজি রেখে পাকিস্তানের আধুনিক অস্ত্রশস্র সজ্জিত বাহিনীর সাথে লড়াই করে যেতে থাকে। বাংলার জমিন রক্তে রক্তাক্ত হতে থাকে। অনেক মা-বাবার বুক খালি হতে থাকে। বোন ভাই হারা, স্ত্রী স্বামী হারা, সন্তান পিতৃ হারা হতে থাকে।কিন্তু বাঙালির অসীম সাহস ও অপ্রতিরোধ্য অবস্থানের কাছে নতি স্বীকার করে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।
বিজয় লাভের পর সারা বিশ্বব্যাপি বঙ্গবন্ধুর ব্যাপক জয়জয়কার সূচিত হয়। বাঙালিরা সহ বিশ্বের সকল শান্তিকামী ও মুক্তিকামী মানুষেরা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্দোলন গড়ে তোলে।বিশ্বজনমত গঠিত হতে থাকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
উপসংহার: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলো বাঙালি এবং তঁর কৌশলী নেতৃত্বে বাঙালির ভিতরে যে জাতীয়তাবাদের উত্থান হয়েছিল এবং যার ফলস্রূতিতে দেশমাতৃকার টানে বাঙালি জীবন দিয়ে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করেছিল।
৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর লন্ডনে চলে যান এবং সেখান থেকে ভারত হয়ে বাংলার জমিনে পর্দাপন করেন।সেদিন সারা বাংলা থেকে লাখো মানুষের ভিড় জমেছিল বিমানবন্দরে।তাদের উদ্দেশ্য ছিল তাদের প্রিয় নেতাকে একটি বার দেখা।সেদিন বাংলাদেশের চুরান্ত বিজয় সূচিত হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব
এতক্ষণ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন আর দেরি না করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্জন সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সুদৃপ্ত নেতৃত্বের ফলে। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন এবং বাঙালিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর করেছিলেন। তার একনিষ্ঠ অবদানের ফলে বাংলাদেশ সেদিন স্বাধীন হয়েছিল। বাংলাদেশ চুরান্তভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বঙ্গবন্ধু যেদিন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলার জামিনে পা রেখেছিলেন।
আরো পড়ুন: ২৫০+ জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস জেনে নিন
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করলেও তাদের নেতা পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী অবস্থায় থাকার কারণে তাদের বিজয় চুরান্তভাবে সূচিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুযারি বাংলার জমিনে পা রাখার মধ্য দিয়ে বাংলার চুরান্ত বিজয় লাভ করে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করে।
৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার আগে পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রাখার একটি প্রস্তাব দেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সে প্রস্তাব ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ৮ জানুয়ারি বিশেষ বিমানে লন্ডণে যান এবং বিশ্ব জনমত গঠনে কাজ করতে থাকেন।
এরপর ১০ জানুয়ারি ভারত হয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীণ বাংলার মাটিতে পা রাখেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখার জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে লাখো লাখো বাংলার মানুষি জমায়েত হয়েছিল এবং তাদের প্রাণের নেতাকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সেদিন আবেগভরা কন্ঠে বলেছিলেন,”বাংলার মানুষ আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছে আমি তাদের জন্য মরতেও প্রস্তুত।”
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন আমি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করবো।আপনি যদি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এ অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।চলুন দেরি না করে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভ করলেও তাদের নেতা পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী অবস্থায় থাকার কারণে তাদের বিজয় চুরান্তভাবে সূচিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুযারি বাংলার জমিনে পা রাখার মধ্য দিয়ে বাংলার চুরান্ত বিজয় লাভ করে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করে।
৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার আগে পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রাখার একটি প্রস্তাব দেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সে প্রস্তাব ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ৮ জানুয়ারি বিশেষ বিমানে লন্ডণে যান এবং বিশ্ব জনমত গঠনে কাজ করতে থাকেন।
আরো পড়ুন: সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৩
এরপর ১০ জানুয়ারি ভারত হয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীণ বাংলার মাটিতে পা রাখেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে একনজর দেখার জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে লাখো লাখো বাংলার মানুষি জমায়েত হয়েছিল এবং তাদের প্রাণের নেতাকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সেদিন আবেগভরা কন্ঠে বলেছিলেন,”বাংলার মানুষ আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছে আমি তাদের জন্য মরতেও প্রস্তুত।” বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলার চুরান্ত বিজয় সূচিত হয়।
পরিশেষে: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা ২০২৩ -স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব জেনে নিন
আশা করি আপনি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস রচনা,বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অনুচ্ছেদ,বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।আজকের পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটিটি নিয়মিত ভিজিট করুন।