সুপ্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকে তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেন। আপনারা যারা তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের এ পোস্টটি। আজকের এ পোস্টে আমি তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এ পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
তরমজ একটি বহুল পরিচিত জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন ফল। তরমুজের জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে অনেকেই তরমুজ চাষ করার সিন্ধান্ত নিয়ে থাকে। কিন্ত তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে কোন প্রাথমিক ধারণা না থাকায় তারা সফলভাবে তরমুজ চাষ করতে পারে না। তাই আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি তরমুজ চাষ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো। চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনায় আসা যাক।
তরমুজ চাষ পদ্ধতি ২০২৩
আপনি যদি তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এ অংশটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলছে। আর্টিকেলের এ অংশে আমি তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।চলুন তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
তরমুজ চাষ পদ্ধতি
তরমুজ চাষে জলবায়ু ও মাটি
পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ও শুষ্ক মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। কারণ, তরমুজ ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য মোটেই উপযোগী নয়। তরমুজ পাকার সময় হলে পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর অভাব হলে তার স্বাদ ও গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দোঁআশ ও বেলে-দোাঁআশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি।
তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়
মাঘ-ফাল্গুন মাস তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় হিসাবে ধরা হয়।মাঘ-ফাল্গুন মাস তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় হলেও পুরো ফাল্গুন মাস জুড়ে তরমুজ চাষ করা হয়।সাধারণত চাষ করার আড়াই মাসের মধ্যে এর ফল ধরা শুরু হয়ে থাকে।তরমুজ চাষ করার জন্য পৌষ- মাঘ মাসে তরমুজের চারা রোপন করা হয়ে থাকে। এসময় শীত থেকে বাঁচাতে তরমুজের চারাকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।
তরমুজ চাষের জন্য জমি তৈরি
তরমুজ চাষের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় চাষ করে নিতে হবে। তারপর মই দিয়ে উপযুক্ত জমি তৈরি করে নিতে হবে।তারপর মাদা তৈরি করে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং চারা রোপন করতে হবে।
তরমুজ রোপন পদ্ধতি
তরমুজ বীজ বপন সাধারণত সরাসরি মাদায় করা হয়।তবে সবচেয়ে ভাল হয় চারা তৈরি করে মাদাতে রোপন করলে। এতে তরমুজের বীজের গুণাগুণ বজায় থাকে।
তরমুজ চাষের বীজ বপন পদ্ধতি
বীজ বপনের পদ্ধতি হিসাবে বীজ বপনের আট থেকে দশ দিন আগে মাদা তৈরি করে মাটিতে প্রয়োজনীয় সার দিতে হবে।দুই মিটার দুরত্ব অনুযায়ী মাদা তৈরি করে প্রতি মাদায় ৪/৫ টি বীজ রোপন করতে হবে।প্রতিটি মাদার প্রস্থ হবে ৫০ সে.মি এবং প্রতিটি মাদার গভীরতা হবে ৩০ সে.মি।মাদায় যখন চারা গজিয়ে যাবে তখন প্রতিটি মাদায় দুটি করে চারা রেখে বাকি চারা গুলো তুলে ফেলতে হবে।
তরমুজ চাষে চারা রোপন পদ্ধতি
- ছোট পলিথিন ব্যাগে বালি ও গোবর ভর্তি করতে হবে
- একটি করে বীজ রোপন করতে হবে প্রতিটি ব্যাগে
- একমাস বয়সী পাঁচ-ছয়টি পাতা বিশিষ্ট একটি করে চারা প্রতিটি মাদায় রোপন করতে হবে।
তরমুজ চাষে বীজের পরিমান
তরমুজ চাষের জন্য প্রতি বিঘাতে ৮৫০/১০০০ গ্রাম পর্যন্ত বীজ রোপন করা যায়।
তরমুজ চাষে সার প্রয়োগ
- তরমুজ চাষের জন্য সাধারণত চারবার সার প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
- প্রথমবার চারা রোপন করার ১০/১৫ দিন পর দেওয়া হয়।
- দ্বিতীয়বার প্রথম ফুল ফোটার পর সার প্রয়োগ করা হয়
- তৃতীয়বার ফল ধারণের সময় দেওয়া
- ৪র্থবার ফল ধারণের ১৫/২০ দিন পর দেওয়া হয়।
তরমুজ চাষে বীজ অঙ্কুরোদগমন
তরমুজ চাষে পরিচর্যা
- শুকনো মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
- গাছের গোড়ায় পানি যেন না জমতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- একটি গাছে তিন চারটির বেশি ফল রাখা যাবে না।
- প্রতি ত্রিশটি পাতা হিসাব করে একটি করে ফল রাখতে হবে।
- অতিরিক্ত শাখা-প্রশাখা ছেঁটে ফেলতে হবে।