সুপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়, স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়, রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়,রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়, আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় শীতে ফর্সা হওয়ার উপায়, কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ফর্সা হতে সবাই চায়। নারী-পুরুষ সবার মনে ফর্সা হওয়ার বাসনা রয়েছে।ফর্সা হওয়ার জন্য অনেকে বাজার থেকে নানা রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। এতে সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও এর রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির দিক। তাই আজকে আমি স্থায়ী ভাবে ফরসা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। যাতে আপনার ত্বকে দীর্ঘমেয়াদী কোন ইফেক্ট না পড়ে। তাই আপনি যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।আর দেরি কেন? চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ৮ টি উপায় – স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ইসলামিক উপায় জেনে নিন
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন
সুপ্রিয় আপনারা যারা স্থায়ী ফর্সা হতে চান তাদের জন্য আর্টিকেলের এ অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জানতে আর্টিকেলের এ অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এ অংশে আমি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন আর দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় । লেবুর রস, মধূ আর দুধের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি লেবুর রস, মধু দুধের ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে এক চামচ পরিমান দুধ, এক চামচ পরিমান লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু।এ উপকরণগুলোকে ভালোভাবে মিশ্রণ করুন। তারপর আপনার পরিস্কার মুখে মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে দেনে । তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার জন্য আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। লেবুর রস আপনার ত্বকের কালো অংশগুলোকে কমাতে সাহায্য করবে এবং মধু আপনার মুখের কালো দাগগুলোকে তুলতে সাহা্য্য করবে। এভাবে লেবুর রস দুধ আর মধুর মিশ্রনটি আপনার ত্বককে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করবে। যা আপনাকে স্থায়ী ফর্সা করবে।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়। টক দইয়ের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনার ত্বক ফর্সা করতে টক দইয়ের ব্যবহার আপনার ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুই চা চামচ টক দই ও এক চা চামচ মধু। উপকরণগুলোকে ভালভাবে মিশ্রিত করুন এবং একটি পেস্ট তৈরি করুন।এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে পেস্টটি আপনার মুখে ভালভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে সমস্ত মুখ ধুয়ে ফেলুন।
টক দইয়ে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড যা মুখের কালো অংশগুলোকে কমাতে সাহায্য করে। এবং পাশাপাশি বয়স্ক জনিত দাগগুলোকে দূর করতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। মধু আপনার মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। দইয়ের মধ্যে বিদ্যমান ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আপনার মুখকে আরো উজ্জলতা ফিরিয়ে দিবে এবং আপানাকে ভিতর থেকে ফর্সা করে তুলবে।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়। আলু ও মধুর ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি আলু ও মধুর ব্যবহার করতে পারেন।যা আপনাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা করে তুলবে।এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে ১ বাটি আলুর রস ও এক চা চামচ মধু। এরপর উপকরণগুলোকে অর্থাৎ এক বাটি আলুর রস ও মধুকে একত্রে ভালভাবে মিশাতে হবে। তারপর আপনাকে আপনি আপনার ত্বকের যে অংশের কালো দাগ তুলতে চান সে অংশে নরম কাপড় দিয়ে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে দিতে হবে।এরপর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে সমস্ত মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
আলুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিযেন্ট আপনার ত্বকের কালো বর্ণকে ফর্সা করে তোলে। এবং ত্বকের বুড়ো কোষগুলোকে দূর করে । যা আপনাকে দিবে একটি আকর্ষনীয় ও স্মার্ট আউট লুক। যা আপনার ত্বককে করবে ফর্সা ও সুন্দর।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়। চালের গুঁড়া ও দুধের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি আপনার ত্বককে ফর্সা করতে চালের গুঁড়া ও দুধের ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে আধা কাপ পরিমান চালের গুড়া ও ৩/৪ চা চামচ কাঁচা দুধ। আধা কাপ চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর তা গুঁড়া করে কাঁচা দুধের সাথে ভাল ভাবে মিশ্রন করতে হবে। তারপর যে পেস্ট তৈরি হবে তা মুখে ভাল ভাবে লাগাতে হবে এবং আধা ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
চালের গুঁড়া আপনার ত্বককে নরম,ফর্সা ও উজ্বল করতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে এবং কাঁচা দুধ আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যবান করতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।তাছাড় চালের গুঁড়ার মিশ্রন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে এবং আপনার ত্বককে দিবে উজ্বল্য ও সুস্বাস্থ্য ।যা আপনাকে ফর্সা করে তুলবে।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়।পেঁপে ও মধুর ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি পেঁপে ও মধুর ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে আধা কাপ পাকা পেঁপে ও এক চা চামচ মধু। প্রথমে আপনাকে আধা কাপ পেঁপে ও মধু একসাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।তারপর আপনার মুখে লাগিয়ে আপনাকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।তারপর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
পেঁপেতে বিদ্যমান আলফা হাইড্রক্সি এসিড ও পেপেইন এনজাইম যা আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলোকে ও ব্রণের দাগ দূর করেতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হবে আকর্ষনীয়, লাবন্য ও ফর্সা।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়। গাজর, অ্যাভোকাডো, ডিম ও মধুর ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি গাজর, অ্যাভোকাডো, ডিম ও মধুর ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি মাঝারি সাইজেরে গাজর, একটি অ্যাভোকাডো, একটি ডিম ও এক চা চামচ মধু। এটি ব্যবহার উপযোগী করতে আপনাকে একটি গাজর সিদ্ধ করে ঠান্ডা করতে হবে।তারপর গাজরের সাথে অ্যাভোকাডো, একটি ডিম ও এক চা চামচ মধু ভালভাবে মিশিয়ে একটি মসৃন পেস্ট তৈরি করতে হবে।
পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে মুখে ও ঘাড়ে ভালভাবে লাগাতে হবে। তারপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
গাজকে বিদ্যমান বিটা- ক্যারোটিন মুখের ত্বক ভাল রাখতে সহায়তা করে।এছাড়াও গাজরে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের গঠন ও রং পরিবর্তন করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।অ্যাভোকাডো মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং ডিম মুখের ছিদ্র বন্ধ করতে কাজ করে। তাই আপনি নিয়মিত এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনি স্থায়ী ফর্সা হতে পারবেন।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়।চন্দনের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি নিয়মত চন্দন ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য আপনার প্রয়োজন হবে এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া্, এক টেবিল চামচ বাদামের গুঁড়া ও ৩/৪চা চামচ দুধ।এজন্য প্রথমে আপনাকে একটি বাটিতে চন্দনের গুড়া, বাদামের গুঁড়া ও এক চামচ দুধ ভাল ভাবে মিশ্রন করতে হবে। তা্রপর যথন পেস্ট তৈরি হবে তখন মুখে লাগিয়ে ২০- মিনিট রেখে দিতে হবে।
রুম হিটার ব্যবহারের নিয়ম – রুম হিটারের ক্ষতিকর দিক জেনে নিন
ত্বককে উজ্জল করতে চন্দন কাঠের কোন জুড়ি নেই। অতি প্রাচীনকাল থেকেই চন্দন কাঠ মুখের উজ্বলতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।চন্দন কাঠ মুখের কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।তাই আপনি স্থাযী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে চন্দন কাঠের ব্যবহার করতে পারেন।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়।হলুদের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি হলুদের ব্যবহার করতে পারেন।এজন্য যা প্রয়োজন হবে তা হলো তিন চা চামচ দুধ, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ কাচাঁ হলুদ । প্রথমে আপনাকে হলুদের সাথে দুধ লেবুর রস ভাল ভাবে মিশ্রন করতে হবে। তাপরপর মিশ্রিত পেস্টটি ভালভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর পরিস্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে লেলতে হবে।
আপনি যদি নিয়মিত এভাবে মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখের সমস্ত কালো অংশ দূরে যাবে এবং ত্বক হবে আরো আকর্ষনীয় ও উজ্বল।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়।বেসনের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি বেসনের ব্যবহার করতে পারেন।এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে ২ চা চামচ বেসন, এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া ও এক চা চামচ দুধ। এ উপকরণগুলোকে একটি বাটিতে ঘনমিশ্রন তৈরি করতে হবে।তারপর ঘন মিশ্রন থেকে তৈরি পেস্ট আপনার মুখে ভালভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
রেশম চাষ পদ্ধতি।রেশম চাষ সংক্রান্ত বিদ্যা ।রেশম চাষ হয় কোন জেলায় জেনে নিন
মুখের ত্বককে পরিস্কার করতে বেসনের কোন জুড়ি নেই। বেসন মুখের ত্বককে পরিস্কার করে ত্বকে ফিরিয়ে আনে উজ্বলতা ও লাবণ্য।তাই স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে আপনি বেসন ব্যবহার করতে পারেন।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় । অীলভ অয়েলের ব্যবহার
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ অয়েলে বিদ্যমান ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের কালচা ভাব দূর করতে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে ।তাই আপনি যদি স্থায়ী ফর্সা হতে চান তাহলে আপনি প্রতি রাতে নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত অলিভ অয়েলের ব্যবহার আপনার মুখের সমস্ত কালো অংশগুলোকে পরিস্কার করে আপনার মুখ েকরবে ফর্সা ও উজ্বল।
লাইফস্টাইলে পরিবর্তন করে উন্নত স্বাস্থ্য লাভের উপায় জেনে নিন
পরিশেষে: স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
আজকের আর্টিকেলে আমি স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়, স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়, রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়,রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়, আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, এক দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় শীতে ফর্সা হওয়ার উপায়, কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আজকের এ পোস্টটি আপনার ভাল লেগে খাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।এধরণের পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন।