রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা
সুপ্রিয় পাঠক, রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা ? বা রোজা রেখে কোন প্রকার গেম খেলা যাবে কিনা এসব বিষয় লিখে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেরি না করে রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা বা রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে আসি।
রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি? জানুন
আমরা সবাই রমজান মাস সংযমের মাস। তাই এ মাসে প্রতিটি রোজা পালনকারী ব্যক্তি সংযম রক্ষা করে চলতে হয়। এক কথায় ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলতে হয়। তাই রমজান মাস আসলে অনেকের মাথায় নানা ধরণের প্রশ্ন উঁকি মারে। যেমন রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি? বা রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা? রোজার মাসে গেম খেললে গুনাহ হবে না? তাই আজকের এ আর্টিকেলের মাধ্যমে রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা এসব প্রশ্নের সমাধান করার চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন: শবান মাসের রোজা কয়টি? শাবান মাসের রোজা রাখার নিয়ম
শরীয়তমতে আল্লাহর মনোযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখে এমন সব কাজ রোজা রাখা অবস্থায় জায়েজ নাই। কেননা আমরা রোজা পালন করি আল্লাহ তালার স্মরণ করার জন্য । তাই আল্লাহ তালা থেকে আমাদের দূরে রাখে এমন সব কাজ আমাদের জন্য নাজায়েজ।
অর্থাৎ ইন্দ্রিয় তৃপ্ত হয় এমন কাজ রোজা রেখে করা নাজায়েজ। যে কোন খেলাধুলা বা গেম এর অর্ন্তভূক্ত। কেননা গেম খেললে আমরা গেমের মধ্যে মত্ত হয়ে যাই । যা আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি গাফলতি সৃষ্টি করে থাকে। এক কথায় একটি কথা মনে রাখতে হবে যেসব খেলা বা গেম রমজান ছাড়া হারাম সেকল গেম রমজান মাসেও হারাম।
রমজান মাস আল্লাহকে রাজী খুশি করার মাস। তাই সবার উচিত রমজান মাসে আল্লাহকে রাজী খুশি করার জন্য সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করা ও ইবাদতে মসগুল থাকা। তাই আমরা রমজান মাসে গেম খেলবো না।
রোজা রেখে গেম খেলা কি হারাম জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক, অনেকের মনে আবার প্রশ্ন জাগে রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি? বা রোজা রেখে গেম খেলা কি হারাম? তাই চলুন আমরা এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে আসি। চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজা রেখে গেম খেলা হারাম কিনা?
আপনি যখন কোন গেম খেলতে শুরু করেন। একটু ভাবুন তো তখন কি আপনার আশেপাশের কোন কিছু আপনার স্মরণে থাকে। আপনি সবকিছু ভুলে গেম খেলায় মত্ত হয়ে যান। আপনি আর আপনার মধ্যে থাকেন না আপনি হাড়িয়ে যান গেমের মধ্যে। গেম আপনাকে সবকিছু ভুলিয়ে রাখে। আপনি যেন অন্য একটি গ্রহের মানুষ হয়ে যান।
ঠিক তেমনি রমজান মাস বা রোজার মাস আমাদের কাছে রহমত স্বরুপ আল্লাহ তালা আমাদের কাছে উপহার দেন। যাতে আমরা ফজিলতে আশায় বেশি বেশি করে আল্লাহ তালার স্মরণ করি এবং তার ইবাদতে মশগুল থাকি। কিন্তু আমরা যদি গেম খেলি তাহলে গেম আমাদেরকে আল্লাহ তালার কাছ থেকে ফারাক করবেন এবং আমাদের ভিতর শয়তান বসবাস শুরু করবে।
এ প্রসঙ্গে কোরানে আল্লাহ তালা বলেন, “ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর স্মরণ করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য শয়তান প্রেরণ করি, সে তার সঙ্গী নাই। সুরা যুকরুফ- আয়াত নং ৩৬। যেসব কাজ মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে ফারাক করে, আল্লাহ ভীতি দূর করে, আল্লাহ থেকে বিশ্বাস তুলে দেয়, মানুষকে পশুর মতো আচরণ করতে প্রলুব্ধ করে তাই একথায় হারাম।
আরো পড়ুন: শবে বরাত ২০২৩ কবে তা জানুন
কিন্তু আপনি যে গেমটি খেলছেন তা যদি আপনার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। আপনার অযথা সময় নষ্ট না হয়। আল্লাহ স্মরণ থেকে আপনাকে ফারাক না করে, আল্লাহ ভীতি দূর না করে এবং আল্লাহ থেকে আপনার বিশ্বাস নষ্ট করে না দেয় সে খেলা হয়তো আপনার জন্য হারাম হবে না। তবে দুনিয়াবে অযথা কোন কাজ না করাই উত্তম।
রোজা রেখে কি ধরণের গেম খেলা যাবে ?
শরীয়তমতে আল্লাহর মনোযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখে এমন সব কাজ রোজা রাখা অবস্থায় জায়েজ নাই। কেননা আমরা রোজা পালন করি আল্লাহ তালার স্মরণ করার জন্য । তাই আল্লাহ তালা থেকে আমাদের দূরে রাখে এমন সব কাজ আমাদের জন্য নাজায়েজ।
অর্থাৎ ইন্দ্রিয় তৃপ্ত হয় এমন কাজ রোজা রেখে করা নাজায়েজ। যে কোন খেলাধুলা বা গেম এর অর্ন্তভূক্ত। কেননা গেম খেললে আমরা গেমের মধ্যে মত্ত হয়ে যাই । যা আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি গাফলতি সৃষ্টি করে থাকে। এক কথায় একটি কথা মনে রাখতে হবে যেসব খেলা বা গেম রমজান ছাড়া হারাম সেকল গেম রমজান মাসেও হারাম।
তবে রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি? এর উত্তরে আমি একটি কথাই বলতে চাই যেধরণের গেম খেললে আল্লাহ তালা বেজার হন সেধরণের গেম না খেলাই উত্তম। তা ছাড়া আপনি যদি গেম খেলেন তাহলে আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে । এ প্রসঙ্গে এক হাদিসে বর্ণিত আছে –
“সেই ব্যকিই ইসলামে পরিপূর্ণ হবে যে ব্যক্তি জরুরী নয় এমন কাজ ত্যাগ করেন।”
তবে আমি বলতে চাই, গেম খেলা এমনিতেই নাজায়েজ তবে আপনার রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি বা রোজার পর গেম খেলা যাবে কি তার নির্ভর করবে আপনার গেম খেলার ধরণ অনুসারে অর্থাৎ আপনি কি ধরণের গেম খেলছেন তার উপর।
রোজা রেখে দাবা খেলা যাবে কি জেনে নিন
রোজা রেখে দাবা খেলা যাবে কি? এই প্রশ্নের উত্তরের আগে আমাদের জানা উচিত দাবা খেলা ইসলামে আদৌও জায়েজ কিনা। কেননা ইসলামে জায়েজ কিনা তার উপর নির্ভর করবে রোজা রেখে জায়েজ কিনা। তাই এখন আমি আলোচনা করবো দাবা খেলা জায়েজ কিনা।
কোরাণে দাবা খেলা নিয়ে কোন আয়াত নাজিল হয়নি। হযরত মুহম্মদ সা. এর হাদিসেও দাবা খেলা নিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন বিষয় জানা যায় না। তবে লুডু সম্পর্কে একটি হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায় নবী করিম (স.) বলেছেন. “যে লুডু খেলবে সে অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাবে।”
তবে এ থেকে স্টষ্ট বোঝা যায় দাবা সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে দাবা সম্পর্কে হযরত আলী (রা.) এর একটি উক্তি পাওয়া যায় যেখানে বলা হয়েছে যে – এসব কিসের মূর্তি যেগুলোর উপর তোমরা উপুর হয়ে আছো – যা একটি তাচ্ছিল্য বহন করে। এ থেকেও দাবা খেলা যাবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন কিছু বোঝা যায় না।
আরো পড়ুন: মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ জেনে নিন
যে বিষয়ে কোরান হাদিসে কোন প্রমান পাওয়া যায় না সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন ফতোয়া দেওয়া উচিত নয়। তবে দাবা খেলা জায়েজ কিনা এ নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অধিকাংশ ওলামাকেরামগণ একে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন। তবে তারা বেশির ভাগ হানাফী মতাদর্শের ।
মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলা কি জায়েজ । রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা
শরীয়তমতে আল্লাহর মনোযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখে এমন সব কাজ রোজা রাখা অবস্থায় জায়েজ নাই। কেননা আমরা রোজা পালন করি আল্লাহ তালার স্মরণ করার জন্য । তাই আল্লাহ তালা থেকে আমাদের দূরে রাখে এমন সব কাজ আমাদের জন্য নাজায়েজ।
অর্থাৎ ইন্দ্রিয় তৃপ্ত হয় এমন কাজ রোজা রেখে করা নাজায়েজ। যে কোন খেলাধুলা বা গেম এর অর্ন্তভূক্ত। কেননা গেম খেললে আমরা গেমের মধ্যে মত্ত হয়ে যাই । যা আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি গাফলতি সৃষ্টি করে থাকে। এক কথায় একটি কথা মনে রাখতে হবে যেসব খেলা বা গেম রমজান ছাড়া হারাম সেকল গেম রমজান মাসেও হারাম।
মোবাইল বা কম্পিউটারে যে খেলাগুলো হারাম বিষয়ের সাথে জড়িত এসব বিষয় নিয়ে খেলা হারাম। যে খেলাগুলোর সাথে হারাম বিষয়ের সম্পর্ক নেই সেসব বিষয় নিয়ে খেললে তা হারাম হবে না। তবে দাবা, কেরাম, তাস যেগুলো জুয়া খেলার সাথে সম্পৃক্ত সেসব খেলা আপনি খেলতে পারবেন না।আশা করি আপনি রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আরো পড়ুন: ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ জেনে নিন
পরিশেষে: রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা
আশা করি আপনি রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কিনা, রোজা রেখে গেম খেলা যাবে কি, রোজা রেখে গেম খেলা কি হারাম, রোজা রেখে কি ধরণের গেম খেলা যাবে, রোজা রেখে দাবা খেলা যাবে কি, মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলা কি জায়েজ, রোজা রেখে গেম খেলা জায়েজ কিনা এসব প্রশ্নের পেয়েছেন। আমাদের পোস্টটি আপনার ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এ ধরণের পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিজট করুন।