বাধ্য করার আমল: ইসলাম মানব জীবনের সমস্ত কিছুর সমাধান। আপনি আপনার জীবন চলার পথে হয়তো এমন কাউকে পাবেন যার সাথে আপনি কুলাতে পারছেন না বা আপনার সাথে তার মনের মিল হচ্ছে না? এজন্য ইসলাম আপনাকে বাধ্য করার আমল শিখিয়ে দিয়েছেন যার মাধ্যমে আপনি তাকে বশে আনতে পারবেন।
তাই আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি কাউকে বাধ্য করার আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমি কাউকে বাধ্য করার আমল সম্পর্কে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে বলবো আপনি সে বিষয়গুলো সৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এসব আমল করে যে কোন অসৎ ব্যক্তিকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
কাউকে বাধ্য করার আমল
আপনার জীভন চলার পথে আপনি এমন কাউকে পেয়েছেন যে, আপনার কোন কথাই মানছেন না। অথবা তার সাথে আপনার মনের কোন মিল হচ্ছে না। সে দিনদিন অসৎ পথে পরিচালিত হচ্ছে না। এমনও হতে পারে আপনার স্ত্রী বাধ্য নয়? আপনি শত চেষ্টা করেও তাকে বাধ্য করতে পারছেন না? এমনও হতে পারে আপনার স্বামী আপনার বাধ্য নয়। আপনি ভাবছেন আপনার স্বামীকে কিভাবে আপনি বাধ্য করবেন? অনেক সন্তান পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে থাকে? পিতা-মাতা শত চেষ্টা করেও তাকে বাধ্য করতে পারেন না।
আজকের এ পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে এ সব কিছুর সমাধান দিয়ে দিবো। কাউকে বাধ্য করার আমল নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজকের এ পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে বা আমি যে আমলগুলোর কথা বলবো সে আমলগুলো নিয়মিত করতে পারলে আপনি আপনার স্ত্রী, সন্তান, স্বামীকে সহ যে কাউকে বাধ্য করতে পারবেন।
পুত্র সন্তান লাভের আমল জেনে নিন
কোন কারণে কোন পরিবারে যদি স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হয় তাহলে সে পরিবারের শান্তি বিনষ্ট হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। তবে পরিবারে স্বামী স্ত্রী যদি একে অপরকে সম্মান ও একে অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা করে তাহলে সে পরিবারে কোন প্রকার অশান্তি হবে না। তবু জীবন চলার পথে স্ত্রী যদি অবাধ্য হয়েই যায় তাহলে তো আর করার কিছুই থাকে না। এসকল সমস্যা থেকে ইসলাম পরিত্রানের সমাধান দিয়েছেন আপনি চাইলে স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল পালন করে আপনি আপনার স্ত্রীকে বাধ্য করতে পারেন।
অনেক পরিবারে পুত্র অবাধ্য হয়ে পিতা-মাতার শান্তি বিনষ্টের কারন হয়ে দ্বারায়। পুত্র যদি পিতার অবাধ্য হয় তাহলে সেই পিতার টেনশনের অন্ত থাকে না। সেই পরিবারেও ধীরে ধীরে অশান্তি নেমে আসে। আজকে আমি আমার এ আর্টিকেলের মাধ্যমে কাউকে বাধ্য করার আমল নিয়ে আলোচনা করবো।
আপনি আপনার স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল করতে পারেন । আপনি যদি আপনার স্ত্রী পুত্রকে বাধ্য করতে চান তাহলে আপনি ( يَا شَهِيْدُ ) – ইয়া শাহিদু মহান আল্লাহ তালার এই পবিত্র নাম প্রতিদিন সকালে ১০০ বার পাঠ করে আপনার স্ত্রী পুত্রকে ফু দিবেন। এই আমলটি নিয়িমিত করলে আপনার স্ত্রী আপনার বাধ্য হবে ইনশাল্লাহ। আপনি আপনার পুত্রকে বাধ্য করতে চাইলেও আপনার পুত্রকে বাধ্য করার আমল হিসাবে এই একই আমলটি করতে পারেন।
কাউকে বশিভূত বা বাধ্য করার তদবির যদি আপনি জানতে চান তাহলে এই পোস্টের শেষে আপনি তা জানতে পারবেন। আপনি চাইলে আমাদের এ আর্টিকেলের যে কোন আমল করে যে কাউকে বাধ্য করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই নেক নিয়তে কাজ করতে হবে। কারো ক্ষতি করার জন্য এসব আমল করবেন না। আপনি কাউকে ভাল করার উদ্দেশ্যে অথবা আল্লাহর পথে আনার উদ্দেশ্যে এসব করতে পারেন ।
(يَا مُقَدِّمُ) – ইয়া মুকাদ্দিমু – মহান আল্লাহ তালার এই পবিত্র নাম ৯ বার পড়া পর একটি ফুঁক ও ৩ বার পড়ার পর তিনটি ফুঁক দিয়ে যে কোন মিষ্টি দ্রব্যে ফুঁক দিয়ে তারপর খাওয়াতে হবে। আপনি যদি কাউকে বশীভূত বা বাধ্য করতে চান তাহলে এই আমলটি করতে পারেন। এটিও কাউকে বাধ্য করার আমল ।
এছাড়াও আপনি আপনার অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার জন্য নিচে উল্লেখিত আমলটিও করতে পারেন। আপনি এই আমলের মাধ্যমে আপনার অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করতে পারবেন। স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল করে আপনি আপনার স্ত্রীকে আল্লাহর রাস্তার আনতে পারেন। এই আমলটি করলে একজন স্ত্রীর স্বামীর প্রতি যে দায়িত্ব রয়েছে সে দায়িত্বগুলো করতে বাধ্য হবে ।
এছাড়া অন্য একটি আমলের মাধ্যমেও আপনি আপনার স্ত্রীকে বাধ্য করতে পারেন। এজন্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল অন্যগুলোর মতোই আপনাকে এই আমলটি করতে হবে। এজন্য আপনি যদি (يَا قَهَّارُ )- ইয়া কাহ্হারু এই মহান পবিত্র নামটি আপনার স্ত্রীর চোখে চোখ রেখে নিয়মিত পাঠ করতে পারেন তাহলে খুব সল্প সময়ের মধ্যেই আপনার স্ত্রী আপনার বাধ্য হতে বাধ্য হবে ইনশাল্লাহ।
এখন আমি কিভাবে আপনি কোন আমলের মাধ্যমে খুব সহজে আপনার অবাধ্য পুত্র সন্তানকে বাধ্য করতে পারেন সেই আমল নিয়ে আলোচনা করবো। অবাধ্য পুত্রকে বাধ্য করার আমল হিসাবে আপনি যদি (يَا وَدُوْدُ ) – ইয়া ওয়াদুদ ( ৭ বার পাঠ করে)- প্রতিদিন আপনার অবাধ্য ছেলে মেয়ের কপালে হাত দিয়ে পাঠ করতে পারেন তাহলে আপনার অবাধ্য ছেলে মেয়ে খুব সহজে আপনার বাধ্য হবে ইনশাল্লাহ।
অনেক সন্তান আছেন যাদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ কম। তারা তাদের খেয়াল খুঁশি মতো জীবন যাপন করে। কারো কথাই মানতে চায় না। তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য তাদেরকে শাসনের পাশাপাশা আপনাকে তাদেরকে ভাল করার জন্য আপনাকে নিয়মিত আমল করে যেতে হবে। আপনি যদি আপনার অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করতে চান তাহলে বাবা-মা উভয়ের নিচের দোয়াটি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর পাঠ করতে হবে।
অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করার দোয়া: আরবি – وَاَصْلِحْ لِىْ فِىْ ذُرِّيَّتِىْ اِنِّىْ تُبْتُ اِلَيْكَ وَاِنِّىْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ-
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা – আসলিহলি ফি জুররিয়্যাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমিন।
আশা করি কিভাবে আপনি যে কাউকে বাধ্য করবেন তার আমল অর্থাৎ কাউকে বাধ্য করার আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনি আমাদের আর্টিকেলে যে কাউকে বাধ্য করার আমল হিসাবে যেগুলো আমলের কথা বলা হয়েছে তা নিয়মিত আমল করেন তাহলে আপনি খুব সহজে কাউকে বাধ্য করতে পারবেন।